Hanuman Chalisa Lyrics In Bengali: হনুমান চালিশা পাঠ করার নিয়ম ও উপকারিতা

বর্তমান সময়ে সবার পছন্দের এবং জাগ্রত দেবতা হল, হনুমানজী। এখন প্রত্যেক জায়গায়, প্রত্যেক পাড়ায় একটা করে রয়েছে হনুমান মন্দির। আসলে সবার বিশ্বাস হনুমানজী সবার সব দুঃখ কষ্ট নাশ করে। আর তাই সবাই হনুমানজীর ভক্ত। মনপ্রাণ দিয়ে  হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa Bengali) পাঠ করে ভক্তি ভরে যদি মনের কামনা জানান, তাহলে অবশ্যই আপনার সব সংকট মোচন হবে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, হনুমান চালিশার মন্ত্র বাংলা অনুবাদ, হনুমান চালিশা পাঠ করার নিয়ম, Hanuman Chalisa Lyrics in Bengali, হনুমান চালিশা পাঠ করার সময়, হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা। 

Hanuman Chalisa Lyrics In Bengali
Hanuman Chalisa Lyrics In Bengali

হনুমান চালিশা কী?

রামায়ণের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হনুমানের প্রতি নিবেদিত অওধী ভাষায় লিখিত একটি কবিতা। তার নাম হনুমান চালিশা। এই কবিতাটি চল্লিশটি চৌপাই নিয়ে রচিত। চৌপাই হল কাব্যশাস্ত্রের একটা ছন্দ যার প্রত্যেক চরণে ষোল টি করে মাত্রা থাকে। ১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে এটি রচনা করেছেন রামচরিতমানস রচয়িতা কবি তুলসীদাস।

অবধি হিন্দির উপভাষা। যারা হিন্দি বোঝেনা, তাদের জন্য এই ভাষা। এই কবিতার মাধ্যমে তুলসী দাস, হনুমানের গুণাবলীর কথা, বজরংবলীর রূপ-গুণ, প্রভু শ্রী রামের সহজ সরল ব্যক্তিত্ব, হনুমান চালিশার ৩৯ নং স্তবকে কবি তুলসীদাস বলেছেন, যে ব্যক্তি শ্রদ্ধার সাথে হনুমান নাম জপ করবেন, সেই ব্যক্তি হনুমানের কৃপা লাভ করবে।

এটা বিশ্বাস করা হয়, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব তুলসীদাসকে চ্যালেঞ্জ জানায়,  রামকে দেখানোর জন্য। তারপর তুলসীদাসকে জেলে বন্দি করে রাখেন, তুলসীদাস জানান, আপনি যদি মনপ্রাণ দিয়ে তাঁকে স্মরণ করেন, তাহলে তাঁকে দেখতে পাবেন। তুলসীদাস যখন ৪০ দিন কারাগারে ছিলেন, তখন তিনি ৪০ টি চৌপাই মন্ত্র পাঠ করেছিলেন।

Hanuman Chalisa Lyrics In Bengali

নীচে ৪০ টি হনুমান চালিশা মন্ত্র (hanuman chalisa in bengali) দেওয়া হল, আগে দোহা পড়ে, তারপর মন্ত্র পাঠ করতে হয়। 

:দোহা:

শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ নিজমন মুকুর সুধারি ।
বরণৌ রঘুবর বিমলয়শ জো দায়ক ফলচারি ।।
বুদ্ধিহীন তনুজানিকৈ সুমিরৌ পবন কুমার ।
বল বুদ্ধি বিদ্য়া দেহু মোহি হরহু কলেশ বিকার ।।

1| জয় হনুমান জ্ঞান গুণের সাগর।
জয় হে কপীশ প্রভু কৃপার সাগর।।

2।শ্রী রামের দুত অতলিত বলধাম।
অঞ্জনার পুত্র পবনসুত নাম।।

3। মহাবীর বজরঙ্গি তুমি হনুমান।
কুমতি নাশিয়া করো সুমতি প্রদান।।

4। কাঞ্চন বরন তব তুমি হে সুবেশ।
কর্নেতে  কুন্ডল শোভে কুঞ্চিত কেশ।।

5। হাতে বজ্র তব আর ধ্বজা বিরাজে।
সুন্দর গদাটি কাঁধে তোমার যে সাজে।।

6। অপরূপ বাহু পবন নন্দন।
মহাতেজ ও প্রতাপ জগত বন্দন।।

7। বিদ্যাবান গুণবান তুমি হে চতুর।
রামচন্দ্রের কার্যে তুমি হে আতুর।।

8। সর্বদা রামের আজ্ঞা করিতে পালন।
হৃদয়ে রাখ সদা রাম, সীতা ও লক্ষণ।।

9। সুক্ষরুপ ধরি তুমি লঙ্কা প্রবেশিলে।
ধরিয়া বিকট রুপ লঙ্কা দগ্ধ করিলে।।

10। ভীমরুপ ধরি তুমি অসুর সংহার।
শ্রীরামচন্দ্রের তুমি সর্ব কাজ করো।।

11। সঞ্জীবন আনী তুমি বাঁচালে লক্ষণ।
রঘুবীর হোন তাতে আনন্দিত মন।।

12। রঘুনাথ দিল তোমায় আলিঙ্গন দান।
কহিলেন তুমি ভাই ভরত সমান।।

13। সহস্ত্র বদন তব গাবে যশ-খ্যাতি।
এ বলি আলিঙ্গন করেন শ্রীপতি।।

14। সনকাদী ব্রহ্মাদী যাতক দেবগন।
 নারদ-সারদ আদি দেব ঋষিগণ।।

15। যম ও কুবের আদি দিকপাল গণে।
কবি ও কোবিদ যত আছে ত্রিভুবনে।।

16। সুগ্রীবের উপকার তুমি যে করিলে।
রাম সহ মিলাইয়া রাজপদ দিলে।।

17। তোমার মন্ত্রণা সব বিভীষণ মানিল।
লঙ্কেশ্বর ভয়ে সবে কম্পমান ছিল।।

18। সহস্র যোজন  ঊর্ধ্বে সূর্যদেবে দেখে।
সুমধুর ফল বলি ধাইলে গ্রাসিতে।।

19। জয়রাম বলি তুমি অসীম সাগর।
পার হয়ে প্রবেশিলে লংকার ভিতর।।

20। দুর্গম যত কাজ আছে ত্রিভুবনে।
সুগম করিলে তুমি সব রামগানে।।

21। চিরদ্বারী আছো তুমি শ্রী রামের দ্বারে।
তব আজ্ঞা বিনা কেহ প্রবেশিকা পারে।।

22। শরন লইনু প্রভু আমি যে তোমারি।
তুমিই রক্ষক মোর আর কারে ডরি।।

23। নিজ তেজ নিজে তুমি করো সম্বরন।
তোমার হুংকারে দেখো কাঁপে ত্রিভুবন।।

24। ভূত প্রেত পিশাচ কাছে আসিতে না পারে।
মহাবীর তব নামে যেইজন স্মরে।।

25। রোগ নাশ করো আর সর্ব পীড়া হর।
মহাবীর নাম যেবা স্মরে নিরন্তর।।

26। সংকটেতে হনুমান উদ্ধার করিবে।
তাহার চরণে যেবা মন-প্রাণ দিবে।।

27। সর্বোপরি রামচন্দ্র তপস্বী ও রাজা।
শ্রী রামের অরিগণে তুমি দিলে সাজা।।

28। তোমার চরণে যেবা মন-প্রাণ দিবে।
এই জীবনে সেইজন সদা সুখ পাবে।।

29। প্রবল প্রতাপ তব হে বায়ু নন্দন।
চারযুগ উজ্জ্বল রহিবে ত্রিভুবন।।

30। সাধু সন্ন্যাসীরে রক্ষা করো মতিমান।
শ্রী রামের প্রিয় তুমি অতি গুণবান।।

31। অষ্টসিদ্ধি নবনিদ্ধি যাহা কিছু রয়।
সকলেই সিদ্ধ হয় তোমার কৃপায়।।

32। রাম-রামায়ন আছে তব নিকটেই।
শ্রী রামের দাস হয়ে রয়েছো সদাই।।

33। তোমার ভজন কইলে রামকে পাইবে।
জনমে জনমে তার দুঃখ  ঘুঁচে যাবে।।

34। অন্তকালে পাবে সেই রামের চরণ।
এই সার কথা সব শুনে ভক্তগণ।।

35। সব ছাড়ি বল সবে জয় হনুমান।
হনুমন্ত তো সর্বসুখ করিবে প্রদান।।

36। সর্ব দুঃখ যাবে সংকট কাটিবে।
যেইজন হনুমন্ত স্মরণ করিবে।।

37। জয় জয় জয় হনুমান গোসাই।
তব কৃপা ভিন্ন আর কোন গতি নাই।।

38। যেইজন শতবার ইহা পাঠ করে।
সকল অশান্তি তার চলে যায় দূরে।।

39। হনুমান চালিশা যে করেন পঠন।
সর্ব কার্যে সিদ্ধি লাভ করে সেই জন।।

40। তুলসীদাস সর্বদাই শ্রীহরির দাস।
মনের মন্দিরে প্রভু কর সদা বাস।।

:দোহা:

পবন তনয় সঙ্কট হরণ – মঙ্গল মূরতি রূপ |
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয় বসহু সুরভূপ ||

|| হনুমান চালিসা শেষ ||
জনাব শ্রী রাম, জয় সিতা রাম, জয় হনুমান

হনুমান চালিশা মন্ত্র বাংলা অনুবাদ - Hanuman Chalisa in Bengali

নীচে ৪০ টি মন্ত্র দেওয়া হল, আগে দোহা পড়ে, তারপর মন্ত্র পাঠ করতে হয়। 

 : দোহা :

শ্রী গুরু চরণ রূপ কমলের পরাগের দ্বারা নিজের মন রূপ দর্পণ পরিষ্কার করে রঘুবর শ্রীরামচন্দ্রের বিমল বর্ণনা করতে প্রবৃত্তি হচ্ছে। শ্রী রামের এই কীর্তিগাথা ( ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ ) চতুর্বিধ পুরুষার্থই প্রদান করে। কিন্তু আমি যে নিতান্ত নির্বোধ তা বুঝে পবন নন্দন হনুমান কে স্মরণ করছি। প্রভু আপনি কৃপা করে আমার সেই ক্ষমতা বুদ্ধি এবং বিদ্যা দান করুন, আমার সর্বপ্রকার ক্লেশ এবং তজ্জনিত বিকার সমূহ হরণ করুন।

  1. হে হনুমান, হে কবিশ্রেষ্ঠ, আপনার জয় হোক। জ্ঞান ও গুণের সাগর স্বরূপ আপনি।ত্রিভুবনে প্রসিদ্ধ আপনার নাম।
  2. আপনি শ্রী রামের দূত।অতুলনীয় আপনার বল ও তেজ। অঞ্জনার পুত্র আপনি, পবন নন্দন নামেও আপনি পরিচিত।
  3. আপনি মহাবীর, মহাবিক্রমশালী, বজরংবলী। আপনি কুমতির নিবারণকর্তা এবং শুভ বুদ্ধির সঙ্গী
  4. স্বর্নবর্ণ দেহে শোভন বেশে কর্ণে কুন্ডল এবং কুঞ্ছিত কেশের দর্শনীয় আপনার রুপ।
  5. আপনার হাতে বজ্র এবং ধ্বজা বিরাজিত, স্কন্ধে মুঞ্জাতৃণ নির্মিত উপবীত শোভমান।
  6. মহাদেবের অংশে জাত আপনি, বানর শ্রেষ্ঠ কেশরী আপনার পিতা। তেজস্ক্রিয়তা এবং প্রতাপে আপনি সর্ব জগতে পূজনীয়।
  7. বিদ্যা ও গুনে ভূষিত আপনি উদ্দেশ্য সাধনে অতিশয় দক্ষ ও চতুর শ্রী রামের কার্য সম্পাদনে আপনি সর্বদা তৎপর।
  8. প্রভু শ্রী রামচন্দ্রের চরিত কথার রসগ্রাহী শ্রোতা আপনি আপনার হৃদয়ের শ্রী রাম,লক্ষণ ও সীতার বসতি।
  9. সীতাদেবীর কাছে আপনি ক্ষুদ্র দেহ ধারণ করে দেখা দিয়েছিলেন। লঙ্কা দহন এর সময় বিকট আকার ধারণ করেছিলেন।
  10. রাক্ষস দের সংহারকালে আপনার রুপ অতি ভয়ংকর। এইভাবে শ্রীরামচন্দ্রের কাজের জন্য আপনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করেন।
  11. মৃতসঞ্জীবনী ঔষধি নিয়ে এসে আপনি শ্রী লক্ষণকে পুনর্জীবিত করেন। আনন্দচিত্তে শ্রীরাম আপনাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।
  12. রঘুপতি আপনার অশেষ প্রশংসা করেন এবং আপনাকে তার ভরতের সমান ভাই বলেন।
  13. আমি সহস্র বদনে তোমার যশ কীর্তন করি এই কথা বলে শ্রীরাম আপনাকে কণ্ঠলগ্ন করেন।
  14. ব্রম্ভাদি দেবশ্রেষ্টগণ স্বয়ং দেবী সরস্বতী সনকাদীক মুনি চতুষ্টয় অনন্তনাগ নারদ সহ অন্যান্য ঋষি বৃন্দ আপনার যশ কৃত্তন করেন।
  15. যমরাজ কুবের আদি দিশার রক্ষক, বিদ্যমান পন্ডিত আপনার যশ এর বর্ণনা করতে পারেনা।
  16. আপনি সুগ্রীবের সঙ্গে  রামের মিলন ঘটিয়ে তাকে রাজপদে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে তার পরম উপকার সাধন করেছিলেন।
  17. বিভীষন আপনার পরামর্শ মেনে ছিলেন এবং তার পরিনামে তিনি লাঙ্কার অধীশ্বর হয়েছিলেন একথা জগতের সকলেই জানে।
  18. এক যুগ সহস্র যোজন দূরে অবস্থিত যে সুর্যদেব তাকে আপনি মিষ্ট ফল জ্ঞানে গ্রহণ করতে উদ্যত হয়েছিলেন।
  19. আপনি শ্রীরামচন্দ্রের  আংটি মুখে নিয়ে সাগর লঙঘন করে পরাপারে গেছিলেন – এতে আশ্চর্যের কিছু নেই।
  20. জগতে যত দুষ্কর কাজ রয়েছে সবই আপনার কৃপায় সহজসাধ্য হয়ে ওঠে
  21. শ্রী রামের দ্বারে আপনি রক্ষক। আপনার অনুমতি ব্যতীত কেউ এখানে প্রবেশ করতে পারে না। অর্থাৎ আপনার কৃপা ব্যতিত ভগবান রামের প্রতি ভক্তি লাভ হয় না।
  22. যে আপনার শরণ নেয় সে স্বর্গ সুখ লাভ করে। আপনি যাকে রক্ষা করেন কারো কাছ থেকে তার আর ভয় থাকে না।
  23. আপনার তেজ একমাত্র আপনি সম্বরন করতে পারেন। আপনার হুংকারে ত্রিভুবন কম্পিত হয়।
  24. মহাবীর হনুমান এর নাম যেখানে উচ্চারিত হয় ভূত পিশাচ  সে স্থানের নিকট আসতে পারে না।
  25. নিরন্তর হনুমানের নাম জপ করলে সর্বপ্রকার রোগ পীড়া বিনষ্ট হয়।
  26. সংকটে পতিত হলে শ্রী হনুমান এর নাম কীর্তন,মনে তাকে স্মরণ এবং ক্রমশ তাকে ধ্যান করলে সেই সংকট থেকে তাকে তিনি মুক্ত করেন।
  27. তাপস্বী শ্রীরাম জগতের সকলের প্রভু। সেই মহামহীমাশালীর সকল গুরুতর কর্মসমূহের দায়িত্ব পালন আপনার পক্ষে সম্ভব হয়েছিল।
  28. অন্য যে কোন মনোবাসনা নিয়ে যে আপনার দারস্ত হয়। সেই অনন্ত জীবনের জন্য সেই সব ফললাভ করে
  29. সর্বজগতেই একথা প্রসিদ্ধ আছে যে চার যুগেই আপনার প্রতাপ  সমুজ্জল ভাবে বর্তমান।
  30. অসাধু সজ্জনগনের আপনি রক্ষাকর্তা, অসুরদের বিনাশকারী এবং শ্রীরামচন্দ্রের একান্ত প্রিয়পাত্র।
  31. মাতা জনকীদেবী আপনাকে এরুপ বর দিয়েছিলেন যে, আপনি ইচ্ছা করলেই অষ্ট সিদ্ধি এবং  নয় প্রকারম সম্পদ দান করতে পারেন।
  32. শ্রী রামের প্রতি প্রেমভক্তি আপনার ভান্ডারে বিদ্যমান। হে রঘুপতি দাস মহাবীর হনুমান আপনি সর্বদা আমার নিকট থাকুন।
  33. আপনার ভজনা করলে তা প্রকৃতপক্ষে শ্রী রামের উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় এবং শ্রী রামের প্রতি সম্পাদন করে। জন্ম-জন্মান্তরের সঞ্চিত দুঃখ ভুলিয়ে দেয়।
  34. যেখানেই সেই ভোজনকারী জন্ম হোক না কেন তা ভগবদ্ভক্ত রূপেই তার পরিচিত হয় এবং এতে তিনি শ্রী রামের নিত্য ধামে গমন করেন।
  35. অপর কোন দেবতার প্রতি চিত্ত নিবিষ্ট না করেও কেবল হনুমানের সেবা করলে সর্ব ফললাভ হতে পারে।
  36. যিনি মহাবলীবীর্যসমন্বিত শ্রী হনুমান কে স্মরণ করেন তার সকল সংক্রমিত হয় সর্ব রোগ নিরাময় হয়।
  37. হে প্রভু হনুমানজি, আপনার জয় হোক, জয় হোক, জয় হোক। গুরুদেব যেমন তার শীষ্যের প্রতি অনুগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন সেই রকম আপনিও আমাকে কৃপা করুন।
  38. এই হনুমান চালিশা যে শত বার পাঠ করবে তার বন্ধনমুক্তি ঘটবে এবং সে প্রভূত সুখ সৌভাগ্য লাভ করবে।
  39. যে কেউ এই হনুমান চালিশা পাঠ করবে তার সিদ্ধিলাভ হবে। এ বিষয়ে স্বয়ং মহাদেব প্রমাণ।
  40. তুলসীদাস সদাসর্বদাই শ্রী হরির সেবক,দাসানুদাস।হে প্রভু আপনি তার হৃদয়টিকে আপনার বাসস্থানে পরিণত করুন অর্থাৎ তার হৃদয়ে নিত্য বাস করুন।

হনুমান চালিশা পাঠ করার নিয়ম

যদি প্রতি মঙ্গলবার হনুমানের পূজা করেন এবং হনুমান চালিশা পাঠ করেন তাহলে উপকৃত হবেন। মঙ্গলবার দিন ছাড়া হনুমান চালিশা পাঠ করলে সেরকম ফল পাওয়া যায় না। হনুমান চালিশা পাঠ করার উপযুক্ত সময় হল, সকালে  বা সন্ধ্যায়। সকালে পাঠ করলে স্নান করার পর শুদ্ধ বস্ত্র ব্যবহার করে পাঠ করুন হনুমান চালিশা। আর সন্ধ্যায় হলে, হাত পা ধুয়ে হনুমান চালিশা পাঠ করতে হবে। এগুলো তো প্রাথমিক নিয়ম, এছাড়াও রয়েছে আরও কতকগুলি নিয়ম, তা নীচে উল্লেখ করা হল। 

  1. পূজার সময় আসনে বসে বজরংবলীর মন্ত্র পড়ুন। 
  2. হনুমান চালিশা পাঠ করার পূর্বে গণেশের আরাধনা করুন। 
  3. গণেশের আরাধনার পর সীতা ও রামকে স্মরণ করে হনুমানের স্মরণ করুন।
  4. এরপর ধূপকাঠি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে ফুল অর্পণ করে তারপর হনুমান চালিশা পাঠ করুন। 
  5. হনুমান চালিশা পাঠ করা হয়ে গেলে রামকে স্মরণ করুন । 
  6. পাঠ শেষে বোঁদে বা বেসনের লাড্ডু দিয়ে ভোগ নিবেদন করুন। 
  7. হনুমান খুব সিঁদুর ভালোবাসেন, আর তাই পূজা করার সময় যদি সিঁদুর দেওয়া হয়, তাহলে মন কামনা পূরণ হবে।

হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা

  1. আপনি যদি রাতে খারাপ, অশুভ স্বপ্ন দেখেন, তাহলে হনুমান চালিশা পাঠ করলে উপকার পাবেন। 
  2. বালিশের নীচে হনুমান চালিশা রেখে, “ভূত পিশাক না আয়েভে মহাবীর যখন নাম সুনাভে” শ্লোকটি উচ্চারণ করে যদি ঘুমাতে যান, তাহলে দেখবেন আপনাকে কোনো অশুভ আত্মা প্রভাবিত করতে পারবেনা। 
  3. আপনি যদি সঠিক নিয়ম করে হনুমান চালিশা পাঠ করেন তাহলে, জীবনের সমস্ত বাঁধা সরে যাবে, খুব সুন্দর মসৃণ জীবন উপভোগ করতে পারবেন। 
  4. প্রতিদিন সকালে হনুমান চালিশা পাঠ করলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন। 
  5. হনুমান চালিশা পাঠ করলে, সমস্ত আর্থিক কষ্ট দূর হয়। 
  6. ছাত্ররা হনুমান চালিশা পাঠ করলে তাঁরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান হয়। 
  7. হনুমান চালিশা নিয়মিত পাঠ করলে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসে। 
  8. জো শত বার পাঠ কর কোয়ী| ছূটহি বংদি মহা সুখ হোয়ী || 
  9. হনুমান চালিশার উনচল্লিশতম চৌপাইয়ে বলা হয়েছে যিনি শত বার হনুমান চালিশা পাঠ করবেন, তাঁর সমস্ত বাধা দূর হবে। 
  10. স্ট্রেস দূর করতে পড়ুন হনুমান চালিশা। 
  11. জীবনের কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে উত্থান পেতে পড়ুন হনুমান চালিশা। 
  12. আইনী জালিয়াতি, মামলা মোকদ্দমা, কারাবাস ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে পড়ুন হনুমান চালিশা। 
  13. চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় যদি কেউ হনুমান চালিশা পাঠ করেন তাহলে উপকৃত হবেন। 
  14. হনুমান চালিশার একটি চৌপাইয়ে লেখা আছে, হনুমানের নাম নিলে সমস্ত রোগ দূর হয়ে যায়। 
  15. বাস্তু দোষ থাকলে, রোজ হনুমান পূজা করলে উপকৃত হবেন। 
  16. কোথাও যাওয়ার আগে আপনি যদি হনুমান চালিশার মন্ত্র পাঠ করেন, তাহলে আপনার যাত্রা শুভ হবে। 
  17. রাত্রিবেলা হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে, ছোটো ছোটো মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। 
  18. গাড়িতে হনুমান চালিশা ও হনুমানজির মূর্তি রাখলে, দূর্ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 
  19. শাস্ত্র মতে প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি যদি হনুমান চালিশা পাঠ করেন, তাহলে কর্মজীবনে উন্নতি দেখা দেবে। 
  20. নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা | জপত নিরংতর হনুমত বীরা ||

হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa Lyrics in Bengali) সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

হনুমান চালিশা কে রচিত করেন?

তুলসী দাস গোস্বামী হনুমান চালিশা রচিত করেন।

হনুমান চালিশা মন্ত্র বাংলা অনুবাদ পিডিএফ কিভাবে ডাউনলোড করবেন?

হনুমান চালিশা মন্ত্র বাংলা অনুবাদ পিডিএফ ডাউনলোড করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

হনুমান চালিশা রাতে পাঠ করলে কি হয়?

আপনি যদি রাতে খারাপ, অশুভ স্বপ্ন দেখেন, তাহলে হনুমান চালিশা পাঠ করলে উপকার পাবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url